বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার আবার নতুন করে সর্বাত্মক লক ডাউন ঘোষণা করেছে। এমতাবস্থায় শ্রমজীবী দিনমজুর মানুষেরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সবকিছু বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছে দেশের লাখ লাখ মানুষ। দিনে আনে দিনে খায় এই সকল মানুষের বেঁচে থাকার জন্য রীতিমত সংগ্রাম করতে হচ্ছে। করোনার কারণে দেশের অনানুষ্ঠানিক খাতের সোয়া ৪ কোটি শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকা আজ হুমকির মুখে পড়েছে। এই সকল কর্মহীন শ্রমজীবীদের অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগে ত্রাণ দিতে হবে।
তিনি আজ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে মাহে রমজান উপলক্ষে শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও মহানগরী দপ্তর সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় এই সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগরী সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, মহানগরী সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল রানা মিঠু প্রমুখ।
আতিকুর রহমান বলেন, নভেল করোনা ভাইরাস আমাদের দেশের শ্রমজীবী মানুষের ওপর সবচেয়ে বেশী আঘাত হেনেছে। প্রায় এক বছর লক ডাউন চলার পর পুনরায় লক ডাউন শ্রমজীবীদের দুর্দিন ফিরে এনেছে। বিশেষত রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক, ফেরী ওয়ালা, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, চায়ের দোকানদার, দোকান কর্মচারী, ফুটপাতের ছোট ব্যবসায়ীসহ এমন খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা এখন ঘরবন্দি থাকতে হবে। দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করা এই সকল মেহেনতি মানুষদের সঞ্চিত কোন অর্থ সম্পদ নেই, যা তারা এই সময় ভেঙে খেতে পারবে। এমন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে শ্রমজীবী মানুষদের ঘরে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে। বিশেষত মাহে রমজানের এই সময় শ্রমজীবীদের কাছে সেহেরী ও ইফতারের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কঠোর লক ডাউনের মধ্যেও গামের্ন্টস ও শিল্প কারখানা খোলা রয়েছে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এর কোন বিকল্প নেই। এই সকল কলকারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। কলকারখানা মালিকগণকে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের এই কঠিন পরিস্থিতি ঐক্যবদ্ধ ভাবে মোকাবেলা করতে হবে। কোন মানব সন্তান যেন অনাহারে না মারা যায় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। কোন শ্রমজীবী ভাই বোনেরা খাদ্য সংকটে থাকলে আমাদের যাদের সামর্থ্য আছে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।