বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, খালিশপুর (পিপলস) জুটমিল লিঃ হাইস্কুলের সাবেক সিনিয়র শিক্ষক, ১২নং ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর এবং দারুল কুরআন ক্যাডেট মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা,বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও সমাজ সেবক মাওলানা এ.বি.এম হাবিবুর রহমান ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। তার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান যৌথ শোকবানী প্রদান করেছেন।
শোকবানীতে তারা বলেন, বাংলাদেশের ইনসাফপূর্ন সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে মাওলানা হাবিবুর রহমান নিজ অবস্থান থেকে শিক্ষা, সমাজ ও জাতি গঠন, ইসলামের প্রচার ও প্রসার এবং দেশ ও জাতির বিশেষ করে শ্রমিকদের কল্যাণে নিঃস্বার্থে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন।তিনি শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে ছিলেন আপোষহীন।ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তার অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে।তিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক শ্রমিক জনতার কল্যাণকামী মহান অভিভাবক। তিনি ছিলেন ইসলামী আদর্শের বাস্তব ও মূর্ত প্রতীক। তিনি আজীবন আদর্শ, চরিত্রবান, সৎ খোদাভীরু শ্রমিক নেতৃত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। তার কর্মময় জীবন আদর্শ জীবন গড়ার জন্য প্রেরণা দিবে।
শোক বানীতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মরহুমের জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাকে জান্নাতবাসী করার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনের কাছে দোয়া করছি। মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, মহান আল্লাহ তায়া’লা তাদের এই শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।
উল্লেখ্য মাওলানা এ.বি.এম হাবিবুর রহমান ৭০ বছর বয়সে ৫ জুন রাত ১১.৩০টায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন । মরহুমের জানাযা আজ সকাল ৮টা তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাষ্টার শফিকুল আলম সহ স্থানীয় ট্রেডইউনিয়ন ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন
জানাজা শেষে তার কফিন দাফনের উদ্দেশ্যে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী,উপজেলা সেনবাগ,গ্রাম সাতারপাইয়াতে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে বাদ মাগরিব জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে।তিনি স্ত্রী, ৬ছেলে ও ২মেয়ে আত্ব্বীয়স্বজনসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে এই নশ্বর জগত ছেড়ে চির বিদায় গ্রহন করেছেন।