সংগঠন কি?
বাংলা সংগঠন শব্দটি আরবীতে ‘তানজীম’ এবং ইংরেজীতে ঙৎমধহরুধঃরড়হ বলা হয়। সংগঠন শব্দের সাধারণ অর্থ সংঘবদ্ধ করন, দলবদ্ধ করণ ও একত্রিত করণ। এর বিশেষ অর্থ দলবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ জীবন। যে কোন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংঘবদ্ধ বা একতাবদ্ধ বা দলবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
ইসলামী সংগঠনের গুরুত্ব:
ইসলামে সংঘবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেছে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন-“তোমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আল্লাহর রশি (আল্লাহর আইন) ধারন করো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়না”। (সূরা আলে ইমরান-১০৩)।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরো বলেন- “তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক অবশ্যই থাকতে হবে, যারা নেকী ও সৎকর্মশীলতার দিকে আহবান জানাবে, ভালো কাজের নির্দেশ দিবে ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখবে। যারা এ দায়িত্ব পালন করবে তারাই সফলকাম”। (সূরা আলে ইমরান-১০৪)
রাসুল (সা.) বলেছেন-“তিনজন লোক কোন নির্জন প্রান্তরে থাকলেও একজনকে নেতা না বানিয়ে থাকা জায়েয নয়।
রাসুল (সা.) আরো বলেন-“যে ব্যক্তি জান্নাতের আনন্দ উপভোগ করতে চায় সে যেন সংগঠনকে আঁকড়ে ধরে। (সহীহ মুসলিম)।
রাসুল (সা.) আরো বলেন- জামায়াতের প্রতি আল্লাহ রহমতের হাত প্রসারিত থাকে। যে জামায়াত ছাড়া একা চলে, সেতো একাকী দোযখের পথেই ধাবিত হয়। (তিরমিযী)
আবু যর গিফারী (রা.) হতে বর্ণিত হাদীসে রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সংগঠন ত্যাগ করে এক বিঘত পরিমাণ দূরে সরে গেলো, সে যেনো ইসলামের রশি তার গর্দান থেকে খুলে ফেললো। (আহমদ, তিরমিযী)
শ্রমিক সংগঠন কি?
শ্রমিকদের দাবী-দাওয়া ও অধিকার নিয়ে যে সংগঠন কাজ করে তাকেই শ্রমিক সংগঠন বলা হয়। শ্রমিক সংগঠন বলতে বুঝায় মূলত: ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনকে। শ্রমজীবি মানুষের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনই হচ্ছে দায়িত্বশীল সংগঠন। যার দ্বারা শ্রমিকরা তাদের বেতান-ভাতা, চাকুরী রক্ষাসহ ন্যায় সংগত অধিকার আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ, মিছিল, সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, গেইট মিটিং, উৎপাদন বন্ধ ও হরতালের মত কর্মসূচী গ্রহন করে থাকে।
শ্রমিক সংগঠনের গুরুত্ব:
“Unity is the power” ঐক্যই শক্তি। শ্রমজীবি মানুষ তুলনামূলকভাবে অসহায়। তাদেরকে ঐক্য বদ্ধ করতে পারলে শক্তি তৈরী হয়। সেই শক্তির সাহায্যে তারা একদিকে নিজেদেরকে জুলুম থেকে রক্ষা করতে পারে, অন্যদেরকেও জুলুমের হাত থেকে উদ্ধার করতে পারে।
শ্রমজীবি, দুর্বল, অসহায়,নর-নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই-সংগ্রাম করার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে সূরা নিসার-৭৫ নং আয়াতে ইরশাদ করেন-“তোমাদের কি হলো, তোমরা আল্লাহর পথে অসহায় নর-নারী ও শিশুদের জন্য লড়বেনা, যারা দুর্বলতার জন্য নির্যাতিত হচ্ছে? তারা ফরিয়াদ করছে হে আমাদের রব! এই জনপদ থেকে আমাদের বের করে নিয়ে যাও, যার অধিবাসীরা জালেম এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য কোন বন্ধু, অভিভাবক ও সাহায্যকারী তৈরী করে দাও”। কাজেই শ্রমিক শ্রেণীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের ঐক্যবদ্ধ করার বিকল্প নেই। আর সে ঐক্যবদ্ধ হওয়া সংগঠন ব্যতীত সম্ভব নয়। সুতরাং শ্রমজীবি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, তাদের জুলুম-নির্যাতন থেকে রক্ষা করার জন্য সর্বপর্যায়ে শ্রমজীবি মানুষকে সংঘবদ্ধ করা জরুরী।
শ্রমিক সংগঠন সম্প্রসারণ:
শ্রমিক সংগঠন সম্প্রসারণ বলতে বুঝায়-
১. সকল ট্রেড/পেশায় সংগঠনের ঘবঃ ড়িৎশ বিস্তৃত করা।
২. সকল ট্রেড/পেশায় শ্রমজীবি মানুষের নিকট দাওয়াত পৌঁছে দেয়া।
৩. প্রত্যেক পেশাভিত্তিক কমিটি গঠন ও দাওয়াতী ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা।
৪. পেশাভিত্তিক ইউনিট, ওয়ার্ড ও সাংগঠনিক থানা শাখা বৃদ্ধি করে সম্প্রসারণ করা।
৫. প্রশাসনিক সর্বস্তরে (ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, থানা, উপজেলায়) সংগঠন থাকা।
৬. সকল পেশা/ট্রেডের শ্রমিকদের মাঝে প্রভাব সৃষ্টি করা।
৭. সর্বপর্যায়ে শ্রমিক সংগঠনের পরিচিতি বিস্তৃত করা।
৮. নতুন নতুন ট্রেড ইউনিয়ন গঠিত হওয়া।
সংগঠন সম্প্রসারনে দায়িত্বশীলদের ভূমিকা:
১. ব্যাপক ভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা:
পরিকল্পনার ব্যাপারে বলা হয় ডবষষ ঢ়ষধহ রং যধষভ ফড়হব এক্ষেত্রে পরিকল্পনা গ্রহন ঝগঅজঞ পদ্ধতিতে হওয়া প্রয়োজন। কেননা যে কোন পরিকল্পনা গ্রহণে ঝগঅজঞ টেকনিক ব্যাবহার অতীব কার্যকর। শ্রমিক সংগঠন সম্প্রসারণেও এ পদ্ধতিকে সামনে রাখা প্রয়োজন। S=Specific বা সুনির্দিষ্ট, M=Measurable বা পরিমাপ যোগ্য, A=Achievable
বা অর্জন যোগ্য, R=Realistic বা বাস্তবধর্মী, T=Time frame বা সময় কাঠামো।
সংগঠন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা গ্রহনের ক্ষেত্রে নিন্মোক্ত দিকগুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় রাখতে হবে:
১. জনশক্তির শ্রেনী বিন্যাস করা
২. পরিকল্পনার ঙনলবপঃরাব নির্ধারণ করা
৩. পারিপাশ্বিকতা অবস্থার সঠিক মূল্যায়ন
৪. কাজের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা কি কি এবং তা উত্তোরনের কি কি ব্যবস্থা আছে?
৫. সম্ভাবনা কি কি আছে এবং এগুলো কিভাবে কাজে লাগানো যায়?
৬. নেতৃত্ব ও কর্মীবাহিনীর মান ও যোগ্যতা
৭. বিরোধী শ্রমিক সংগঠনের তৎপরতা
৮. অর্থনৈতিক অবস্থা
৯. সম্ভাব্য নেতৃত্ব নির্ধারণ
১০. এলাকা/পেশা নির্ধারণ করা
১১. সার্বিক অবস্থার উপরে একটি জরিপ করা। যাতে নিন্মলিখিত দিকগুলো প্রাধান্য পাবে।
-উপজেলা, থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বর্তমান কাজের অবস্থা নির্নয়
-পেশাভিত্তিক কাজের পরিধি নির্নয়
-পেশাভিত্তিক শ্রমিক সংখ্যা নির্ধারণ
-প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক সংখ্যা নির্ধারণ
-নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের সংখ্যা পৃথকভাবে নির্ধারণ
-কর্মহীন শ্রমিকের সংখ্যা নির্ণয়
-কতটি ফ্যাক্টরী, মিল-কারখানা আছে তা চিহ্নিত করা
-বিশেষ কোন শিল্পাঞ্চল/শ্রম অঞ্চল থাকলে তার অবস্থান ও সামগ্রীক চিত্র সামনে রাখা
– কোন পেশার উল্লেখযোগ্য শ্রমিক থাকলে তা নির্ধারণ করা
-শ্রমিকরা কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থনপুষ্ট তার জানার ও বুঝার চেষ্টা করা
১২. পরিকল্পনার সময়সীমা নির্ধারণ করা
১৩. একটি দীর্ঘ মেয়াদী ও স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা করা
২. পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া:
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিন্মোক্ত ৫টি দিক গুরুত্বপূর্ণ- ১. Executive plan (কার্যকরী পরিকল্পনা) ২. Work distribution (কাজ ভাগ করা) ৩. Work reviwe (পর্যালোচনা) ৪. Reporting (রিপোর্টিং) ও ৫. Supervision (তত্ত্বাবধান)। এক্ষেত্রে শ্রমিক সংগঠন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিন্মোক্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা জরুরী।
১. বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ
২. কর্মী ও দায়িত্বশীলদের মাঝে কর্মবন্টন করে দেওয়া। এক্ষেত্রে-
– প্রত্যেক জনশক্তির মান, অবস্থান ও ঝোঁক প্রবনতা অনুযায়ী কাজ বন্টন করা।
-প্রত্যেক জনশক্তিকে নির্দিষ্ট পেশা ও কাজের টার্গেট ঠিক করে দেওয়া।
-জনশক্তি যে পেশার সাথে সম্পৃক্ত তাকে সে পেশায় কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করা। ফলে সংশ্লিষ্ট পেশায় কাজের সম্প্রসারণ তরান্বিত করা সম্ভব হবে।
৩. নির্দিষ্ট সময় পরপর বন্টনকৃত কাজের ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক পর্যালোচনা করা
৪. অগ্রগতির সঠিক প্রতিবেদন সংগ্রহ করা
৫. নিয়মিত তত্ত্বাবধান ও মনিটরিং করা
৬. অগ্রাধিকার তালিকা করে কাজের তদারকি করা এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা। এক্ষেত্রে কাজকে নিন্মোক্ত গ্রেড আকারে সাজানো যেতে পারে। Most important work, Vere important work, Simple important work and Less important work.
৭. দায়িত্বশীলসহ সর্বস্তরের জনশক্তির ওহাড়ষাবসবহঃ থাকা।
৩. পরিকল্পিত দাওয়াতী কাজ করা:
পেশাভিত্তিক শ্রমিকদেরকে সংঘবদ্ধ করার লক্ষে পরিকল্পিত দাওয়াতী তৎপরতা চালানোর বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে নিন্মোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক:
১. জনশক্তিকে ব্যক্তিগত দাওয়াতী কাজে অভ্যস্ত করে গড়ে তোলা।
২. পেশাভিত্তিক প্রভাবশালী, দক্ষতাসম্পন্ন ও নেতৃত্বের গুনাবলী সম্পন্ন শ্রমিকদের মাঝে টার্গেট ভিত্তিক কাজ করা।
৩. নিয়মিত দাওয়াত কাজ করা ।
৪. গ্রুপভিত্তিক বিভিন্ন শিল্প, কল-কারখানা, গ্যারেজ, ষ্ট্যান্ডে দাওয়াতী কাজ করা।
৫. পরিকল্পিত সেবামূলক কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে শ্রমজীবি মানুষকে দাওয়াতী বলয়ে নিয়ে আসা।
৬. সকল পেশা/ট্রেডে সংগঠনের দাওয়াতী কাজকে জালের মত ছড়িয়ে দেওয়া।
৭. প্রতিটি পেশায় আন্দোলনের সমর্থক ও প্রতিটি পেশায় সংগঠন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে দাওয়াতী কাজ করা।
৮. বিশেষ দাওয়াতী সপ্তাহ, দশক, পক্ষ পালন করা।
৯. সর্বপর্যায়ের জনশক্তিকে দাওয়াতী মেজাজ ও চরিত্রে গড়ে তোলা। এক্ষেত্রে নিন্মোক্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন:
-দাওয়াতী ও গণমুখী চরিত্র সম্পন্ন জনশক্তি তৈরী করা
-জনশক্তিকে উত্তম ও আকর্ষনীয় চরিত্রে গড়ে তোলা
– জনশক্তিকে ক্রটিমুক্ত রাখা
-মানবতার প্রতি ভালোবাসা তৈরী করা
-ধৈর্য্যশীলতার গুণে গুনান্বিত করা
-হিকমাত অবলম্বন
-সাহসিকতা
১০. আধুনিক উপায় উপকরণ কাজে লাগানো।
১১. প্রয়োজনীয় দাওয়াতী উপকরণ প্রকাশ ও বিতরণ করা
১২. দাওয়াতী ক্যাসেট, ফিল্ম তৈরী ও পরিবেশনা
১৩. পরিচিতি, লিফলেট, দেয়াল লিখন ও পোষ্টারিং
১৪. নিজদেরকে সত্যের সাক্ষ্য হিসাবে উপস্থাপন করা
৪.সর্বস্তরের জনশক্তির সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা:
শ্রমিক সংগঠন সম্প্রসারণে দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই। যোগ্য ও দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে যে কোন লক্ষ্য প্রাণে পৌঁছা সহজ হয়। জনশক্তির সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিন্মোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী
১. “শ্রমিক সংগঠনের কর্মী মানে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের কর্মী” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সর্বস্তরে শ্রমিক জনশক্তির ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনের কার্যক্রম সংক্রান্ত দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
২. শ্রম আইন, শ্রমবিষয়ক জ্ঞান ও ইসলামী শ্রমনীতি বিষয়ক সম্যক ধারণা প্রদান করা।
৩. পেশাভিত্তিক জনশক্তিকে বাছাই করে সংশ্লিষ্ট পেশার সমস্যা ও সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যতে করণীয় সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রদান করা।
৪. জনশক্তিকে শ্রমিক সংগঠন পরিচালনা ও শ্রমিক সংগঠনের কার্যক্রম সংক্রান্ত জ্ঞান প্রদান করা।
৫. বিভিন্ন প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রাম আয়োজন করা এবং অংশ গ্রহণ করানো।
৬. প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রাম সমূহ গতানুগতিক না করে শ্রমিক বান্ধব করা।
৭. সকল জনশক্তিকে ট্রেড ইউনিয়ন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সম্পৃক্ত করা।
৫. যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্ব তৈরী করা:
সংগঠন সম্প্রসারণে যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে নিন্মোক্ত দিকগুলোকে সামনে রাখা জরুর:
১. যথাযথ টার্গেট নির্ধারণ করা। টার্গেট নির্ধারণে লোক তৈরীর কাজ অর্ধেক সম্পন্ন হয়।
২. সাহসী, নেতৃত্বের গুণাবলী ও মৌলিক মানবীয় গুণাবলী সম্পন্ন শ্রমিক জনশক্তি বাছাই করা এবং মোটিভেশন চালানো।
৩. একজনকে নয় একটা গ্রুপকে বাছাই করা।
৪. টার্গেটকৃত জনশক্তিকে নিয়মিত সাহচর্য্য প্রদান করা। ব্যক্তিগত সাহচার্য্য লোক তৈরীর অন্যতম মাধ্যম। এক্ষেত্রে সর্বদা দায়িত্বশীল আচরণ বজায় রাখা।
৫. মৌলিক জ্ঞান প্রদানের ব্যবস্থা করা।
৬. টার্গেটকৃত জনশক্তি ক্রটি দূরীকরণ, সংশোধন ও পরিশুদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা।
৭. ধারাবাহিক প্রশিক্ষনের আওতায় নিয়ে আসা।
৮. দায়িত্ব দিয়ে নেতৃত্বের বিকাশ সাধনের সুযোগ করে দেয়া।
৯. সকলকে সমান নজরে দেখা। বয়স ও শ্রেণী অনুপাতে যার যা মর্যাদা তাকে সেরূপ মর্যাদা দেওয়া।
১০. সংশ্লিষ্ট জনশক্তির উপর তীক্ষ্ম নজর রাখা। তার আচার-আচরণ ও নৈতিক খোঁজ-খবর নেওয়া এবং তার সকল ধরনের সমালোচনা-তিরস্কার বর্জন করা।
৬. জনশক্তির মানউন্নয়নের জন্য ধারাবাহিক প্রোগ্রাম:
সংগঠন সম্প্রসারণে মানসম্মত জনশক্তির বিকল্প নেই। যাদের উপর সংগঠন আস্থাশীল হয়ে গুরুদায়িত্ব অর্পন করে থাকে। জনশক্তির মান উন্নয়নে নিন্মোক্ত পদক্ষেপ গ্রহন করা অতীব জরুরী:
১. অগ্রসর জনশক্তিকে বাছাই করে মানউন্নয়নের লক্ষ্যে নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান।
২. সার্বক্ষনিক লেগে থেকে মানোন্নয়ন করা।
৩. জ্ঞানের ঘাটতি পূরণ করা ও তাকে সংগঠনের নিয়ম-শৃংখলা পালনে অভ্যস্থ করে গড়ে তোলা।
৪. ব্যক্তিগত সাহচার্য্য প্রদান করা।
৫. সাংগঠনিক কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করানো।
৬. গুরুত্বপূর্ণ ট্রেড সমূহে নেতৃত্ব্রে উপযোগী জনশক্তিকে বিশেষ টার্গেট নিয়ে মানোউন্নয়ন করা (পরিবহন, গার্মেন্টস)।
৭. মানউন্নয়নের জন্য জনশক্তির মধ্যে আত্মবিশ^াস সৃষ্টি করা। তাকে হতাশায় না ফেলে আশাবাদী করে গড়ে তোলা।
৮. সংশ্লিষ্ট জনশক্তির সাথে মধুর আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তোলা।
৭. সর্বপর্যায়ে গতিশীলতা সৃষ্টি করা: সর্বপর্যায়ে গতিশীলতা আনয়নে দায়িত্বশীলদের নিন্মোক্ত দিকগুলোর প্রতি অত্যাদিক দৃষ্টি দিতে হবে:
১. Team Sprite সৃষ্টি ।
২. পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবপর্যায়ে নিরলস প্রচেষ্টা চালানো।
৩. সর্বপর্যায়ে আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরী করা।
৪. সমস্যার চাইতে সম্ভাবনাকে সামনে রেখে কাজ করা।
৫. পারস্পারিক ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করা।
৬. যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়া।
৭. অনাকাংখিত পরিবেশ সৃষ্টি না করা।
৮. পরামর্শ ভিত্তিক কাজ করা।
৯. সকল পর্যায়ে ত্যাগের মানসিকতা সৃষ্টি করা।
১০. জনশক্তির মাঝে ইনসাফ কায়েম করা। সকলকে সমান চোখে দেখা।
১১. জনশক্তির উপর অহেতুক দোষ-চাপানোর মানসিকতা পরিহার করা।
১২. সর্বপর্যায়ে চিন্তার ঐক্য গড়ে তোলা।
১৩. উরপঃবফ তথা নির্দেশ দেওয়ার মানসিকতা পরিহার করা।
১৪. অপরের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া।
১৫. মেজাজের ভারসাম্য রক্ষা করা।
১৬. ঝবৎরড়ঁং পড়হঃৎড়ষ এর মানসিকতা পরিহার করা।
১৭. অন্যকে তার যথার্থ মর্যাদা দেওয়া।
১৮. দায়িত্বশীলকে নিজের যোগ্যতার সকল কিছু উজাড় করে দিয়ে ভূমিকা রাখা।
৮. পেশাগত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা:
শ্রমিক কর্মচারীদের চাকুরী জীবনে কর্মশালা বা প্রশিক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ন সোপান। বাংলাদেশ সরকারের শ্রম পরিচালকের অধীন শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তণ বা Industrial Relations Institution (IRI) পেশাজীবি শ্রমিক কর্মচারীদের নানা মেয়াদে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ট্রেড ইউনিয়ন নেতাকর্মীসহ শ্রমজীবি মানুষকে পেশাগত প্রশিক্ষনের পাশাপাশি ইউনিয়ন গঠন, দাবীনামা পেশ, দরকষাকষি, কারণ দর্শাও নোটিশের জবাব দানসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানদান ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। এর মাধ্যমে
১. শ্রমজীবি মানুষের মাঝে দাওয়াত সম্প্রসারনের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
২. শ্রমিকদের সাথে সেতুবন্ধন তৈরীর পরিবেশ তৈরী হয়।
৩. পেশাভিত্তিক শ্রমিকদেরকে সংঘবদ্ধ করা সহজ হয়।
৪. গার্মেন্টস ও পরিবহন সেক্টরে শ্রমিকদের পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকা জরুরী।
৯. তালীম ও তারবিয়াত কার্যক্রম চালু করা:
সংগঠন সম্প্রসারণে সাধারণ শ্রমিকদের নিয়ে তালীম ও তারবিয়াত কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিভিন্ন পেশাভিত্তিক শ্রমিকদের নিয়ে তালীমুল কোরআন প্রোগ্রাম চালু করা, সহীহ করে নামাজ পড়ার পদ্ধতি শিখানো, জরুরী মাসয়ালা-মাসায়েল শিক্ষার আসর, নিয়মিত দোয়া-কালাম প্রভৃতি শিক্ষার মাধ্যমে শ্রমিকদের মন জয় করে সংগঠনের অন্তর্ভূক্ত করা যায়।
১০. পেশাভিত্তিক দাওয়াতী ইউনিট গঠন:
সংগঠন সম্প্রসারণের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রত্যেক পেশায় দাওয়াতী ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন। দাওয়াতী ইউনিট এক পর্যায়ে সংগঠনের মূল ইউনিটে রপান্তরিত হয়। লোক সংগ্রহ ও কর্মী সৃষ্টির জন্য ইউনিটই হচ্ছে মূল সাংগঠনিক কেন্দ্র। কাজের সম্প্রসারণ, কর্মী গঠন, ট্রেড ইউনিয়ন বৃদ্ধি ও নতুন নতুন ইউনিট গঠননের উপরই নির্ভর করে শ্রমিক সংগঠনের কাজের সম্প্রসারণ।
১১. জাতীয় ইউনিয়ন/ক্রাফট ফেডারেশন গুলোর কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা:
শ্রমিক সংগঠনের সম্প্রসারনের নিমিত্তে পেশাভিত্তিক জাতীয় ইউনিয়ন ও ফেডারেশন গুলোর কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ করা জরুরী। ফলে ট্রেডভিত্তিক কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাবে। শ্রমিকরা নিজ নিজ ট্রেডের ইউনিয়ন/ফেডারেশনের সাথে সম্পৃক্ত হওয়াকে অপেক্ষাকৃত স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করে। যার মাধ্যমে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে পেশাভিত্তিক দাবী-দাওয়া আদায় করা সহজ হবে। ফলে সাধারণ শ্রমিকদের মাঝে সংগঠনের পজেটিভ দাওয়াত সম্প্রসারণ ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে।
সংগঠন মজবুতি অর্জন:
সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জন একে অপরের পরিপূরক। কোথাও সংগঠন সম্প্রসারিত হবার পরেই সংগঠন মজবুতির প্রশ্ন আসে। আবার কোন সংগঠন মজবুত না থাকলে সেই সংগঠন সম্প্রসারণের শক্তি বা সামর্থ্য রাখেনা। হঠাৎ বা রাতারাতি চমক লাগানো কোন কর্মসূচীর মাধ্যমে সংগঠনের মজবুতি অর্জন সম্ভব নয়। বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহনের মাধ্যমে ধারাবাহিক নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করার মধ্য দিয়ে একটি সংগঠনকে মজবুতি অর্জনের পর্যায়ে পৌঁছানো যায়। সংগঠনের মজবুতি অর্জন বলতে বুঝায়-
১. সাংগঠনিক দুর্বলতা পরিহার করে ক্রমশ শক্তি অজর্ন করে শ্রমজীবি মানুষের আস্থা অর্জন করা।
২. সংগঠনের শক্তিশালী কাঠামো তৈরী হওয়া। (ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা ও উপজেলা পর্যায়ে)।
৩. সংগঠনের কাজ সর্বত্র জালের মত ছড়িয়ে থাকা।
৪. তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনের প্রভাব সৃষ্টি করা।
৫. সর্বত্র চেইন অব কমান্ড গড়ে ওঠা
৬. ট্রেড ইউনিয়নগুলো সক্রিয় থাকা
সংগঠন মজবুতি অর্জনে দায়িত্বশীলদের ভূমিকা:
১. সংগঠনের বর্তমান চিত্রকে সামনে রেখে মজবুতি অর্জনের টার্গেট নির্ধারণ করা। এটি স্বল্পমেয়াদী কিংবা দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে।
২. মহানগরী/জেলা/উপজেলা/থানা/ওয়ার্ড/ইউনিয়ন পর্যায়ে সাংগঠনিক মজবুতির সুনির্দিষ্ট প্যারামিটার নির্ধারণ করা।
৩. পেশাভিত্তিক ইউনিয়ন ও ক্রাফট ফেডারেশন গুলোর কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৪. ট্রেড ইউনিয়ন গুলোকে নীতিমালার আলোকে সক্রিয় ও গতিশীল করা।
৫. প্রত্যেক মহানগরী/জেলা/উপজেলা/থানা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পেশা সমূহের শক্তিশালী কমিটি গঠন করা এবং নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করা।
৬. জনশক্তিকে শ্রমিক আন্দোলনের কাজে দক্ষ করে গড়ে তোলার কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৭. অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করা।
৮. শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে গঠনমূলক ভূমিকা পালনে অগ্রগামী থাকা।
৯. প্রভাবশালী শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের সংগঠনের প্রভাব বলয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহন।
১০. চৌকস নেতা ও কর্মী গঠনে টার্গেট ভিত্তিক দাওয়াতী কার্যক্রম।
১১. জনশক্তির মানউন্নয়নে কার্যকরী উদ্যোগ।
১২. জনশক্তির মৌলিক মানবীয় গুনাবলী ও প্রতিভা বিকাশে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন
১৩. জনশক্তিকে শ্রমিক সেবা ও শ্রমিক কল্যাণ মূলক কাজে সম্পৃক্ত করা
১৪. নেতৃত্বের সংকট পূরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ
১৫. তৃণমূল লেভেল পর্যন্ত সংগঠন বিস্তৃতির কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ
১৬. গার্মেন্টস ও পরিবহন সেক্টরে সংগঠন মজবুতির পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহন
১৭. অন্যান্য প্রভাবশালী শ্রমিক সংগঠন ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে পরিকল্পিত যোগাযোগ ও সম্পর্ক তৈরী করা।
১৮. সর্বপর্যায়ে শ্রমজীবি মানুষের মাঝে সংগঠনকে জনপ্রিয় করে তোলা
১৯. শ্রমজীবি মহিলাদের মাঝে সংগঠনের কাজকে বিস্তৃতি করা।
২০. ব্যাপক শ্রমিক বান্ধব ও কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা
২১. শ্রমিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্দোলন সংগ্রাম ও দাবী-দাওয়া আদায়ে ভূমিকা রাখা
মজবুত শ্রমিক সংগঠনের বৈশিষ্ট:
১. গতিশীল নেতৃত্ব
২. A Set of leadership থাকবে
৩. স্বচ্ছল আর্থিক ব্যবস্থাপনা
৪. জনশক্তির মধ্যে Team Sprite থাকবে
৫. সাংগঠনিক শৃংখলা বজায় থাকবে
৬. সবক্ষেত্রে Chain Of leadership থাকবে
৭. মানউন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকবে
৮. সংগঠনের Net work বিস্তৃতি করার শক্তি থাকবে
৯. প্রয়োজনীয় দাওয়াতী উপকরণ ও সমৃদ্ধ পাঠাগার থাকা
১০. চিন্তার ঐক্য থাকা ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহনের সক্ষমতা থাকা
১১. নেতৃত্ব ও জনশক্তির মধ্যে আন্তরিক ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে
১২. সকল সিদ্ধান্ত পারস্পারিক পরামর্শ ও আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে গৃহীত হবে।
১৩. শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে ও শ্রমিক সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা থাকা
১৪. সাংগঠনিক মৌলিক প্রোগ্রামাদি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা থাকা
১৫. ইউনিট মজবুত থাকা
১৬. ব্যাপক ভিত্তিক শ্রমিক সম্পৃক্ততামূলক কর্মসূচী থাকা
১৭. প্রভাবশালী ও আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা পালনকারী শ্রমিক সংগঠন ও নেতাদের সাথে সম্পৃক্ততা
১৮. উর্ধ্বতন সংগঠনের যথাযথ আনুগত্য প্রদর্শন
১৯. সক্রিয় ও দক্ষ কর্মী বাহিনী থাকা
২০. ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রম গতিশীল থাকা
২১. শ্রমিকদের দাবী দাওয়া আদায়ে সক্রিয় থাকা
সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জনে শ্রমিক সংগঠকের গুণাবলী:
১. পরিশ্রিম প্রিয়তা
২. অলসতা পরিহার করা
৩. কষ্ট সহিষ্ণুতা
৪. স্বত:স্ফুর্ততার সাথে কাজ করা
৫. সাহসিকতা
৬. বিচক্ষনতা
৭. ত্যাগী মনোভাব/ত্যাগের মহীমায় উজ্জীবিত থাকা
৮. জনশক্তি সম্পর্কে সুপষ্ট ধারণা ও ঈষবধহ ঙনংবৎাধঃরড়হ থাকা
৯. যেটুকু যোগ্যতা আছে তা নিয়েই আত্মবিশ্বাসী হওয়া
১০. কাজ পর্যালোচনায় যোগ্যতার অধিকারী হওয়া
১১. কুন্ঠহীন জবাবদিহি বা জবাবদিহিতার তীব্র অনুভূতি লালন করা
১২. অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী
১৩. উত্তম ব্যবহারের অধিকারী হওয়া
১৪. সংগঠনের দায়িত্বকে অন্যসব দায়িত্বের উপর প্রাধান্য দান
১৫. নিষ্কিয়তার প্রতিকার করা
১৬. সবাইকে কাজের গুরুত্ব উপলদ্ধি করাতে সক্ষম হওয়া
১৭. কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষ করা
১৮. যোগ্য উত্তরসূরী সৃষ্টি
১৯. আল্লাহর উপর ভরসা পোষন করা
সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জনে সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা:
১. যথাযথ পরিকল্পনার অভাব
২. সব পর্যায়ে জনশক্তির পেরেশানীর অভাব
৩. দাওয়াতী উপায়-উপকরণের স্বল্পতা
৪. পরিকল্পিত দাওয়াতী কাজের ঘাটতি
৫. দক্ষ জনশক্তির সংকট
৬. আগ্রহ ও উদ্দীপনার অভাব
৭. দাওয়াতী চরিত্র তৈরী না হওয়া
৮. ট্রেড ইউনিয়ন গুলোর কার্যক্রম কাঙ্গিত মানের না হওয়া
৯. আর্থিক সংকট
১০. পেশাভিত্তিক নেতৃত্বের সংকট